মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের জায়গা দখলে নিয়ে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দপটে এ অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। উদ্যান সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উভয় পাশে বালুর স্তুপ রাখায় যেকোনো সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্ভাবনা বলে দাবী সচেতন মহলের। সরকারী সম্পদ বেদখলের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার কথা স্থানীয় ও বনবিভাগ সুত্রে জানায়। মেধাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন বালু রক্ষিত জাতীয় উদ্যানের জায়াগাটি বনবিভাগের। বালু ব্যবসায়ীদের শতবর্ষী গর্জন গাছের গোড়া থেকে বালু সরিয়ে নিতে তাদের অনেকবার বলা হয়েছে কিন্তু কোনপ্রকার কর্ণপাত করেননি। এছাড়া মহাসড়কের সাথে লাগোয়া বালু ভর্তি কাজে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানায় একাধীকজন চালক। মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানসহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী এলাকার মোঃ জুবাইর, জামাল উদ্দিন, ওসমান গণি, জাবের, মোহাম্মদ হোসেন সওদাগর, এনামুল হক, ছৈয়দুল হকসহ একটি চক্র। মহাসড়কের কিনারায় বালুর স্তুপ রাখার বিষয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন আমরা কয়েকদিন আগেও বালুর গাড়ী আটক করে মামলা দিয়েছি। মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে বালু রাখার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন এব্যপারে আমি অবগত হয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।